সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ , ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরুল হক মহাজন স্মরণে সভা ধর্মপাশায় প্রথম কিস্তির টাকা না পাওয়ায় বিপাকে পিআইসিরা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে এক বছরে ১০ মৃত্যু আটক দেশি-বিদেশি ৪৪ নাগরিক বিজিবি’র অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহারে সতর্কতা জারি দ্রুত গতিতে চলছে উড়াল সড়ক প্রকল্পের ৯ প্যাকেজের কাজ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ছাড়া সংস্কার প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না : ফখরুল আ.লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা সরকারের নেই: প্রেস সচিব এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৪৬ শতাংশই স্কুল-পড়ুয়া জেলা পর্যায়ে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন যা সংস্কার করা দরকার, তা রাজনৈতিক সরকারই করবে : আসাদুজ্জামান রিপন হাওরে কমছে দেশি ধান চাষ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা সে সিদ্ধান্ত জনগণের : মির্জা ফখরুল আগাছা রয়ে গেছে, আবারও যুদ্ধের প্রস্তুত নিন : জামায়াত আমির সরস্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ের জমি প্রভাবশালীর দখলে জেলা পর্যায়ে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতীয় দুই নাগরিক আটক নির্বাচন করতে এত সংস্কার দরকার নেই : জয়নুল আবদিন ফারুক ঘোষণাপত্র নিয়ে ‘তড়িঘড়ি’ করার বিপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জে মামলা

অবশেষে মামলার চার মাস ১১ দিন পর আদালতে আপসনামা বাদীর

  • আপলোড সময় : ১৪-০১-২০২৫ ০১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০১-২০২৫ ০১:৩৪:১৪ অপরাহ্ন
অবশেষে মামলার চার মাস ১১ দিন পর আদালতে আপসনামা বাদীর
স্টাফ রিপোর্টার:: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী হাফিজ আহমদ ও তার ভাই আহত জহুর মিয়া সোমবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আপসনামা দাখিল করেছেন। দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র দাখিলকৃত আপসনামা নথিতে রেখে মামলার আইও’কে বিষয়টি অবহিত করার আদেশ দিয়েছেন।  বাদী হাফিজ আহমদ ও তার ভাই আহত জহুর মিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে লিখিতভাবে জানান, আসামীগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় তাদের আপসে মিমাংসা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করার জন্য আপসনামা দাখিল করা হলো।  হাফিজ আহমদ’র আইনজীবী নানু মিয়া বললেন, আদালত আপসনামাটি নথিতে রেখে, মামলার আইও’কে বিষয়টি অবহিত করার জন্য আদেশ দিয়েছেন।  প্রসঙ্গত, গেল বছরের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও ৪ সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক সহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র’র আদালতে মামলা দায়ের করেন দোয়ারাবাজারের এরোয়াখাই গ্রামের মো. হাফিজ আহমদ। তিনি ঐ গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট কে।  এছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ— ৩ আসনের সাবেক এমপি এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ- ৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ- ১ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজ আহমদ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মঞ্জুর আহমদ খন্দকার, শংকর চন্দ্র দাস, রেজাউল আলম নিক্কু, আবুল কালাম, এহসান উজ্জল, অমল কর, প্রদীপ রায়, রিগ্যান, আপ্তাব উদ্দিন, কুদ্দুস ওরপে বেল কদ্দুস, বিন্দু তালুকদার, ফরিদ আহমদ ইমন, সুয়েব আহমদ চৌধুরী, জুবের আহমদ অপু, দীপঙ্কর কান্তি দে, আশিকুর রহমান রিপন, আলামিন রহমান, ফজলে রাব্বী স্মরণ, সজিব রঞ্জন দাশ সল্টু, লিখন আহমদ, জিসান এনায়েত রেজা, আহসান জামিল আনাস, লুৎফুর রহমান লিটন, জহির আলী, ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রঞ্জিত চৌধুরী রাজন, জনি হোসেন, হাসানুজ্জামান ইস্পাহানী, ফজলুল হক, ফরহাদ, সাজন আহমদ, আবিদুর রহমান তারেক, নিরব, মেহের, আনোয়ার মিয়া আনু, হাসনাত হোসাইন, নুর হোসেন, ফয়সল আহমদ, নূরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম (সামিয়ান তাজুল), মো. ফারুক মিয়া, মিলন খান, রাসেল আহমদ, মো. রতন মিয়া, ফারুক আহমদ সুজন, তাজিম তিমু, মো. বাবুল মিয়া, মো. আবুল মিয়া, উকিল, ওবায়দুর রহমান কুবাদ, লিটন সরকার, নূরুল ইসলাম বজলু, নূরুল ইসলাম, আবুল হোসেন খাঁ, কামাল হোসেন, জগলু মিয়া, ইকবাল হোসেন, রিমন, জাওয়াদ, সাইদুল পলাশ, শাহরিয়ার নিহান, শিহাব, প্রিন্স রাজা, মিতুল, মুকুল, মাহির হোসেন, মসিবুর, শামসুল ইসলাম শামীম ওরফে শামস শামীম, মিজানুর রহমান, মেহদি হাসান সাকিব, মোস্তাক আহমদ, জমিরুল ইসলাম পৌরব, তুষার, মহিম তালুকদার, অয়ন, তাওসিফ, ছলিম উদ্দিন, সাহারুল আলম মুসাহিদ, শিমন চৌধুরী, আব্দুল কদ্দুস, খুর্শিদ, এবাদুর রহমান কুবাদ, শাহারিয়ার হোসেন বিপ্লব, জিকির আলী সহ অজ্ঞাত আরো ১৫০/২০০ জন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই গুরুত্বর আহত জহুর আলী ও রিপন মিয়া সহ আহতদের শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্টলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে বিনা উসকানীতে আহত করেছেন। হামলাকারীরা কেউবা স্বশরীরে ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে গেলে আওয়ামী চিকিৎসকগণের অসযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভিতে রয়েছে। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১২০ জনের মতো নেতা কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট শহরের পুরাতন স্টেশন এলাকায় ছাত্র-জনতা এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকমীর্দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশত আন্দোলনকারী আহত হন। গুরুতর আহত ৬-৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর করা হয় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা হয়। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকমীর্রা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আরপিননগর, জামতলা, তেঘরিয়া এলাকা সহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নিরাপদ স্থানে যেয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ছাত্র—জনতা বিচ্ছিন্নভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় পুলিশ আরপিননগর এলাকায় ঢুকে ধাওয়া দেয়। এসময় সিএনজি অটোরিকশায় লুকিয়ে থাকা রিপন নামের এক আন্দোলনকারীকে পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন তৎকালীন সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরুল হক মহাজন স্মরণে সভা

বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরুল হক মহাজন স্মরণে সভা